• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Short Film

বিনোদুনিয়া

'সূর্য-র' তেজ কি 'সিন্ডিকেট' রাজ-এ কোনও ছায়া ফেলতে পারবে?

বর্তমানে সিন্ডিকেট নাম টার সাথে সবাই কম বেশি পরিচিত। দিনে দিনে এই সিন্ডিকেটের দাদাগিরি বেড়েই চলেছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা একটু একটু করে অর্থ সঞ্চয় করে অথবা ধার-দেনা করে নিজের আশ্রয়ের জন্য বাড়ি হোক বা ব্যাবসার জন্য কোনো নির্মান কার্য শুরু গেলেই হাজির হয়ে যায় সিন্ডিকেটের দাদাগিরি । এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ বহুবার বহু জায়গায় লক্ষ্য করা গেছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস সাধারণ মানুষের হয় ওঠেনা, তার একটাই কারণ বলে তাঁদের ধারণা এরা ক্ষমতাশালী। তবে সেই সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছেন পরিচালক সূর্য। বর্তমান সমাজের এরকমই একটা বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে সিন্ডিকেট শর্টফিল্ম এর মাধ্যমে। ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য ও সংলাপও লিখেছেন সূর্য। এই ছবির টাইটেল গানের প্লেব্যাক করেছেন শপ্তর্ষি গাঙ্গুলী (সিআর) আর গানটির মিউজিক কম্পোজিশনের দায়িত্বে ছিলেন সুমিত মজুমদার (হায়ঘাত)। ছবিটি আগামী ২৩ শে আগস্ট তাঁদের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে সৌনক দাস কে যিনি আদতেই একজন সিনেমাটোগ্রাফার। তবে এই ছবির পরিচালক সূর্য জনতার কথা কে জানায় আমি কখনো নাম দেখে অভিনেতা নির্বাচন করি না। যাকে আমার গল্পের জন্য একবারে উপযুক্ত মনে হয় তাকে দিয়েই অভিনয় করাই আর সে একেবারে নতুন হলেও তার জন্য সব রকম চ্যালেঞ্জ নিতে আমি সর্বদা প্রস্তুত। তবে সৌনক নিজেও এই ছবির জন্য নিজেকে যথেষ্ট সময় দিয়ে বহুদিন ধরে সিন্ডিকেট গল্পের শিবু চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছেন। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অশান্ত ব্যানার্জীর মতো অভিজ্ঞ অভিনেতার পাশাপাশি অঞ্জন মাঝি, অভ্রজিৎ নাথ, নিবেদিতা মাঝি, দিপ চ্যাটার্জী, ইন্দ্রজিৎ মন্ডল, স্বরূপ দাস, মধুমঙ্গল বৈদ্যর মতো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন আকাশ মুখার্জী।ছবির পরিচালক সূর্য জনতার কথা কে জানায়, তাঁদের আগের শর্টফিল্ম ফুডব্লগএখনো পর্যন্ত ছবিটি ১৩ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ১২ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকেই সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক ইত্যাদি বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। তিনি বলেন, তবে সব থেকে বড়ো ব্যাপার হলো এই ছবিটা দুর্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সিলেক্ট হয়ে নন্দন সিনেমা হলে প্রদর্শন হয়েছে। যা সিন্ডিকেট কলাকুশলীদের কাছে শ্রেষ্ঠ সন্মান। সিন্ডিকেট ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমার পরিচিতদের সাথেই বাড়ি বানানো কে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটাই আমি সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। সমাজকে শিক্ষা দেয়। আমি ছবির মাধ্যমে সমাজের অন্ধকার দিক গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক সচেতনমূলক বার্তা দিতে পারবো।

আগস্ট ১৬, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

ইংরাজি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির পরিচালনায় পায়েল

পায়েল চৌধুরী চিত্রনাট্য ও পরিচালনা, জয়দীপ চক্রবর্তী ও সাবিত্রী প্রোডাকশন প্রযোজিত ইংরাজি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি দ্য ফোনেক্স। জয়দীপ চক্রবর্তীর লেখা এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়দীপ চক্রবর্তী, বোধিসত্ত্ব মজুমদার ও ত্রিপর্ণা বর্ধন। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন রোশনি, পায়েল, ইন্দ্রজিৎ, সরোজ, সৌমিত ও সুকন্যা।এই ছবি প্রসঙ্গে পায়েল জানিয়েছেন, আমি এর আগে ৯৫টির বেশি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি পরিচালনা করেছি। এই ছবিটি কলকাতা, তার পাশ্ববর্তী এলাকা ও মান্দারমনিতে শুটিং হয়েছে। ডিমেনশিয়া ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হলে কি হয় সেটা এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে যাতে সাধারণ মানুষের মতো দেখা হয় সেই বিষয়টা দেখানো হয়েছে। এছাড়া গল্পে আরো অনেক তম রয়েছে সেটা ছবি মুক্তি পেলেই দর্শকরা বুঝতে পারবেন।এই ছবির প্রয়োজন অভিনেতা জয়দীপ চক্রবর্তী বর্তমানে আবুধাবির বাসিন্দা। তাই দুবাইতেও এই ছবি মুক্তির পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। ছবিটি দর্শকদের ভালো লাগবে আশাবাদী জয়দীপ।

অক্টোবর ০২, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

কেউ কথা রাখেনি, গল্প শুনে কফি খেয়ে ছবি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েই পগারপার!

টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলেই তাঁকে দুর্মুখ, ঠোঁটকাটা সহ নানাবিধ বিশেষণ ভূষিত করতে শোনা যায়। আদতে তিনি শ্রীলেখা মিত্র সরলরেখায় চলতে অভ্যস্ত। কোনও বিষয়েই তাঁর ঢাকঢাক গুরুগুরু ব্যপারটা নেই। তিনি সোজা কথাটা সোজা ভাবেই বলতে অভ্যস্ত, তাতে বোমটা যত জোরেই ফাটুক। এর আগেও বহুবার তিনি যেমন ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও গরবর দেখলে সপাট জবাব দিয়েছেন, ঠিক তেমনই জ্বলে উঠেছেন পোষ্যদের (বিশেষ করে সারমেয়) অবহেলা নিয়েও। লকডাউনে পথ কুকুরদের অবহেলা নিয়ে বারবার শিরোনামে এসেছেন শ্রীলেখা। শ্রীলেখা মিত্র এর আগে বহুবার জানিয়েছেন, তিনি ফেবার পাওয়ার জন্য কখনই কারুর কাছে নিজেকে ফেবারিট করে তুলতে চাননি। কয়েকদিন আগেই টালিগঞ্জের এক রন্ধন পটীয়সী ঘোষীকা তাঁর প্রযোজক স্বামী কে নিয়ে করা কানাঘুঁশো অভিযোগ, প্রকাশ্য মিডিয়ায় সপাট জবাব দিয়ে শ্রীলেখা বুঝিয়ে দিয়েছেন সব ক্ষারক-ই ক্ষার নয়।একসময়ের টলিউডের জনপ্রিয় লাস্যময়ী নায়িকা, এখন পরিচালক, প্রযোজক এবং অবশ্যই একজন খ্যাতানামা অভিনেত্রী। সম্প্রতি তাঁর অভিনীত পরিচালিত বেশ কয়েকটা ছবি শিরোনামে উঠে এসেছে। উল্লেখযোগ্য ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা। কলকাতার শহরের ওপর আধারিত এই ছবিটি কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অবশ্যই দেখানো উচিত ছিল বলে মনে করেছিলেন ফিল্ম ক্রিটিক্স রা। সেই ঘটনায় তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেও ছিলেন। অনেকেই সে সময় বলেছিলেন, যে অভিনেত্রী ভেনিস নিউ ইয়র্কে সমাদৃত তাঁর কি বা আসে যায় কলকাতাতে উপেক্ষা করলে। কিন্তু কিছু চলচ্চিত্র সমলোচক অনুপ্রেরণার আরাল থেকে মনে করেছিলেন, হ্যাঁ আসে! তাঁদের মতে, যখন অযোগ্যরা মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ায় তখন অবশ্যই যোগ্য ব্যক্তিদের কিছু এসে যায়।ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন ক্যালকাটা মেলবোর্নের ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে। অবশেষে তিনি বাংলা সংস্কৃতির প্রানকেন্দ্র নন্দনে হাজির হন তাঁর নিজের প্রযোজিত, পরিচালিত ও অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি এবং ছাদ এর সৌজন্যে। এবং ছাদ শ্রীলেখার প্রযোজিত প্রথম শর্টফিল্ম। প্রযোজনা সংস্থা পসাম প্রোডাকশনস প্রযোজিত এবং ছাদ ছাড়াও আরও তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির অংশ জুড়ে একটি পূর্ণ দৈর্ঘের অ্যান্থোলজি ছবি তৈরি করার পরিকল্পনা শ্রীলেখার।এবং ছাদ ছবিটি নিয়ে তিনি প্রথম থেকেই বারবার বিড়ম্বনাই পড়েছেন। তিনি একাধিকার সামাজিক মাধ্যমে তাঁর আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এমনকি সামাজিক মাধ্যমে প্রযোজকের জন্য আবেদন করতেও তাঁকে দেখা গেছে। অনেক ঘাত প্রতিঘাত, প্রত্যাখ্যান-র সিঁড়ি পেড়িয়ে তিনি সত্যিই ছাদ তুলতে পেরেছেন। আজ আক্ষরিক অর্থেই ছাদে উঠে শ্রীলেখা নিচের দিকে তাকিয়ে বলতে চাইছেন, তোমরা আমাকে বহু চেষ্টা করেও আমার ছাদে ওঠা আটকাতে পারলে না। সেই একগুচ্ছ অভিমান, আক্ষেপ, অবহেলা, বিশ্বাসঘাতকদের উদ্দেশ্যে গর্জে উঠেছে তাঁর কলম। তিনি সামাজিক মাধ্যমে উগরে দিয়েছেন সেই কথা।শ্রীলেখা সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেনঃছবি তো বানিয়েছি নিজের পয়সায়, প্রচুর festival ঘুরলো। সামনেই আবার দিল্লি যাচ্ছি এবং ছাদ নিয়ে। ছবিটা বানিয়ে ইচ্ছে হয়েছিল আরো তিনটে শর্ট বানাবো তারপর অ্যান্থোলজি হিসেবে হল রিলিজ করব। নতুন পরিচালকের পাশে দাঁড়ান বলে যারা দাবি করেন তারা অনেকেই ফোন ধরেননি বা মেসেজের রিপ্লাই ব্যাক করেননি।। যারা করেছেন তারা কফি খেয়ে এবং খাইয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ছবির জন্য পয়সা দেবেন। এক ভদ্রলোক সামান্য কিছু টাকা এডভান্স করেছিলেন ছবি আরম্ভের দশ দিন আগে থেকে উনি ফোন ধরা এবং মেসেজের রিপ্লাই ব্যাক করা বন্ধ করে দিলেন। আমরা তার আগে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি লোকেশন রেইকি করেছি একটার্সদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করেছি কিছু কিছু টাকা এডভান্সও দিয়েছিলাম। প্রডিউসার ভদ্রলোক তখন গায়েব। এখন উনি এবং উনার পরিবার আমার কাছে সেই যৎসামান্য এডভান্স যেটা দিয়েছিলেন যা কিনা পুরোটাই খরচ হয়ে যায় তা ফেরত চাইছেন। নিয়ম মতে সেই টাকা দেওয়ার কথা নয় আমাদের সময় পরিশ্রমের কোন মূল্যই দেয়া হয়নি। তাও বলেছি ফাইন্যান্সার পেলে বা প্রোডিউসার পেলে কিছু দেবো। উনি টাকাটা দেখলেন সময়ের পরিশ্রমের মূল্যটা দিলেন না। এর মধ্যে হলো আমার টাকা চোট। আমি দমবো না ছবি তো আমি করবই দরকার হলে নিজের ফিক্স ডিপোজিট ভেঙ্গে করব। সাথে থেকো।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

ইজেডসিসি-তে অনুষ্ঠিত হবে শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

রোসট্রাম-এর উদ্যোগে ১,২ এবং ৩রা জুলাই ঐক্যতান ইজেডসিসি-তে অনুষ্ঠিত হবে বেঙ্গল শর্টস ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটেটিভ শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই ছোট ছবি উৎসবের মূল দুই কান্ডারি হলেন পরিচালক সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, চিত্র সম্পাদক অনির্বাণ মাইতি এবং ক্যালিফোর্নিয়া নিবাসী সাহিত্যিক মণিদীপা দাস ভট্টাচার্য।এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্ধোধনে থাকছেন অভিনেতা জয় সেনগুপ্ত, সুদীপ মুখার্জি, সুরকার জয় সরকার এবং কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়।এছাড়াও থাকছেন স্বরূপ বিশ্বাস ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু নবীন এবং প্রবীণ পরিচালকেরা এই চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য ছবি পাঠিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ২৫০ টির উপর ছবি জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪০টি ছবি বেঙ্গল শর্টস ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটেটিভ শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ নির্বাচিত হয়েছে।এই ৪০টি ছবির মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হবে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান। নাইজেরিয়া, স্পেন, আমেরিকা, বাংলাদেশ, ইরান এবং আরও অন্যান্য অনেক দেশের ছবি দেখানো হবে।ছবি পাঠানো এবং স্কিনিংয়ের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয়নি।ছোট ছবির ক্ষেত্রে ক্যামেরা হাতে সবাই বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে এবং সেটাই তুলে ধরেছেন বহু পরিচালক। ছোট ছবি হলেও ছবির মেকিং অনেকটা পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবির মতো।মৎস্যজীবীদের পেশা সংকট থেকে মানুষের অস্তিত্ব সবরকমের ছবিই এই ফেস্টিভ্যালে নির্বাচিত হয়েছে এবং দেখানো হবে।একটি ই-পাশের বিনিময়ে ছবি দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।

জুন ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

নন্দনে প্রদর্শিত হল 'সোচ'

পরিচালক ইন্দিরা ধর মুখার্জির জন্য খুশির খবর। ১৫ মে শুরু হয়ে ১৮ ই মে পর্যন্ত নন্দনে চলবে সপ্তম বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এই ফেস্টিভ্যালেই ইন্দিরা ধর মুখার্জি পরিচালিত সোচ মনোনীত হয়েছে। ১৫ মে ফেস্টিভ্যালের প্রথম দিনে দেখানোও হল ছবিটি।সোচ একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি হলেও, ছবির মধ্যে সমাজের একটা দিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এটি একটি নারীকেন্দ্রিক ছবি। ছবিতে এক নারীর স্বপ্ন পূরণের গল্পকে তুলে ধরেছেন পরিচালক।ইন্দিরা ধর মুখার্জির সোচ ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া শীল ঘোষ, সাহেব চট্টোপাধ্যায় এবং শর্মিলা সেন। গোটা ছবি জুড়ে একা দাপিয়ে গেছেন জয়া শীল ঘোষ। সাহেব চট্টোপাধ্যায় এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন।ইন্দিরা ধর মুখার্জি জানিয়েছেন, সোচ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মনোনীত হয়েছে এটা অনেক বড় পাওয়া। আমার বিশ্বাস সোচ এভাবেই আরও অনেকটা দূর যাবে এবং সকলের মনে জায়গা করে নেবে। সকলের কাছ থেকে খুব ভালো রিঅ্যাকশন পাচ্ছি আমি।

মে ১৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অভিষেক বসুর মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম 'নজরিয়া'

নজরিয়া- অ্যা মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম। গানের গল্প, গল্পে গল্পে গান, নৃত্য গীত আধারিত এই ছবিটির লেখক, সংগীত পরিচালক এবং সমগ্র কাজটি পরিচালনা করেছেন অভিষেক বসু। ছবির শুভ সূচনা হয়ে গেল ২০শে এপ্রিল, শহরের এক বিখ্যাত হোটেল ব্যাঙ্কোয়েটে। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী, সংগীত নাটক পুরস্কারে ভূষিত,প্রি গ্র্যামি নমিনি শ্রদ্ধেয় সন্তুর বাদক পন্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য, চলচ্চিত্র অভিনেতা ,চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা অনিন্দ্য সরকার, অভিনেত্রী অনিন্দিতা সরকার, এবং অন্যান্য বিশিষ্ট টলিউড ব্যক্তিত্ব।নজরিয়া - An incomplete love story is the greatest of all। নৃত্যগীত সমন্বিত ছবিটির পরিচালক অভিষেক বসু। দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার এবং বিবিসি পুরস্কার আরও নানান পুরস্কার এগিয়ে যাবার ছাড়পত্র হিসাবেই গ্রহণ করেছেন ধ্রুপদী ঘরানায় শিক্ষিত এই পারকাশনিস্ট অভিষেক বসু।অভিষেক পরিচালিত এই ছবির কেন্দ্রে রয়েছেন অভিজ্ঞ কত্থক শিল্পী তন্বী চৌধুরী, যিনি নিজে কত্থক নৃত্য পরিবেশন করে মোহিত করছেন সারা পৃথিবীর দর্শককে, গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে। রয়েছেন বিশিষ্ঠ অভিনেতা ফৈয়জ খান,মডেল ও অভিনেতা দেবারুণ স্বরাজ, পোশাক পরিকল্পনায় বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার তেজস গান্ধী, শ্রদ্ধেয় প্রযোজক হেমন্ত মার্দা, সন্তুর বাদক চিরদীপ সরকার, পিয়ানিস্ট অভিক গাঙ্গুলী এবং ছবিটির সঙ্গে যুক্ত আরও কলা কুশালিরা। তন্নী চৌধুরীর অভিযাত্রী হিসেবে এটি প্রথম কাজ। অভিনেত্রী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুটি ভিন্ন শাজে নিজের বলিষ্ঠ অভিনয় দিয়ে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন।ছবিটি ইতিমধ্যেই দাদাসাহেব ফালকে, গেল্ডেন আর্থ ফিল্ম এওয়ার্ড, (টেক্সাস,ইউ এস এ) ওয়ান আর্থ এওয়ার্ড (ব্যাঙ্গালোর), লিফ্ট অফ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্যারিস, মিলান গোল্ড এওয়ার্ডস(ইটালি),নিউ ইয়র্ক মুভি এওয়ার্ড, ডাইরেক্ট মান্থলি অনলাইন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (ইউ এস এ) এর মত কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নমিনেশন পেয়েছে। এবং আমেরিকান ট্র্যাক মিউজিক এওয়ার্ড, টেক্সাস শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, সুইডেন ফিল্ম এওয়ার্ড ভার্জিন স্প্রিং সিনে ফিস্টের মত কয়েকটি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। ইনডিঅন অনলাইন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে দুটি পুরস্কার এবং ভারত ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল পুরস্কারও এসেছে। অপেক্ষায় আছে আরও আটটি পুরস্কারের।কাহিনী বিন্যাস অনেকটা এরকম-মহারাজা অভিমন্যু সিং এর মহারানী রানী সৌগন্ধ্যা, নৃত্যকলায় এবং সৌন্দর্যে অতুলনীয়া। রাজারা যেমন হয় রক্ষনশীল, রানীকে পর্দানসীন রাখতে চায়, তার অন্তঃস্থিত শিল্প সত্তায় কোন মনযোগ দেন না রাজা। একাকী রানী মনের মানুষ চায়, এমন মানুষ যে শিল্প বুঝবে, তার শিল্পী মনকে ছায়া দেবে, আলো দেবে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সাদা মাটা ধ্রুব আসে রানীর বন্ধুহীন জীবনে। প্রেমের বাঁধনে বাঁধা পড়ে সুগন্ধা ও ধ্রুব। এর পর কী হলো? প্রেম কী পরিনতি পেল? নাকি আধখানা কথাই ভালোবাসার গল্পটিকে শ্রেষ্ঠত্ব দেবে? জানতে হলে আপনাকে নজরিয়া দেখতে হবে।

এপ্রিল ২৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ভিন্নধর্মী গল্পে চমক রাখছে 'ইনসেন'

আগামীকাল ১লা বৈশাখে মুক্তি পাচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ইনসেন। এই ছবির কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক স্নেহা কাঁড়ার এবং সৌরনীল সিংহ। গোধূলি প্রযোজনা সংস্থার অধীনে নির্মিত ছবির প্রযোজক রবীন্দ্রনাথ মিত্র। ছবিটি একটি ছেলের কথা বলে, যার নাম বিজিত ভট্টাচার্য। সে একজন বেকার যুবক। তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে দিয়েছে, তার পরিবার বলতে আছে কেবল শুধু তার বাবা - মা। সে বাড়ি থেকে বেরোয় না, ছোটো থেকেই একটু নিজের মধ্যে থাকতো, বিশেষ বন্ধু-বান্ধব নেই, পড়াশোনাতেও সে মোটামুটি ছিল। তার একটি ক্যামেরা আছে আর সে সেটি একদিন চালিয়ে একটি ভিডিও করে এবং তার জীবনের কথা বলে। এমন কিছু কথা উঠে আসবে যা তার ভাব ধারায় খুবই স্বাভাবিক লাগলেও অন্যান্য মানুষের কাছে তা খুবই অস্বাভাবিক এবং অস্বস্তি জনক লাগবে। এরকম মানুষ আমরা সাধারণত দেখে হয়তো চিনতে পারবো না কিন্তু এই ধরনের মানুষ আছে আমাদের সমাজে। বিজিত ভট্টাচার্যের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবপ্রিয় সাধুখাঁ। তিনি অভিনয়ের সাথেই যুক্ত। ছোটো থেকে স্কুলে নাটক করা থেকে অভিনয় প্রতি ভালোবাসা। তারপর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক নিয়ে পড়াশোনা। বেশ কিছু থিয়েটার গ্রুপ এবং যাত্রা দলের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। দুটো ছোটো ছবি এবং দুটো তথ্যচিত্রের পাশাপাশি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবিতেও ইতিমধ্যে কাজ করে ফেলেছেন। তার অভিনয়ের পাশাপাশি সঙ্গীতেও বিশেষ আগ্রহ। গান শোনা এবং গান গাওয়া দুই তার কাছে ভালোবাসার জায়গা। এই ছবির একটি নিজস্ব গান আছে। যেটির নাম বিলম্বিত। এই গানটি গীতিকার, সুরকার তথাগত। গানটি আয়োজন করেছেন সৈকত মন্ডল। গানটি গেয়েছেন তথাগত। গানটি বিভিন্ন মিউজিক প্ল্যাটফর্মে আছে, এছাড়াও গোধূলির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আছে। ছবিটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতীয় কিছু চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল এবং পুরস্কৃত হয়েছিল। ইংল্যান্ড, গ্রীস, বাংলাদেশ সহ ভারতবর্ষের বেশ কিছু শহরে দেখানো হয়েছে।

এপ্রিল ১৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তির অপেক্ষায় "পঞ্চভুজ", নতুন ভূতের ছবি

শুরু হতে চলেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যর ছবি পঞ্চভুজ এর শ্যুটিং। ডক্টর অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রযোজনা এবং পরিচালনায় তৈরি হচ্ছে এই ছবি।ফিলম্যাজিকের প্রযোজনায় এই ছবিটির সহকারী পরিচালনা করেছেন শুভম ঘোষ এবং সৃজিতা রানা। সংগীত পরিচালনা করেছেন সাহেব চক্রবর্তী।গানে রয়েছে হলিউডের ছোঁয়া। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুজন দে। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৃজিতা রানা, অয়ন দেবনাথ, সুনরিতা দে এবং ইন্দ্রনীল চৌধুরী। এক অনবদ্য ভৌতিক ঘটনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ছবি। সাধারণত আমরা যে ধরণের ভৌতিক ছবি দেখে থাকি,এই ছবি তার থেকে একদমই আলাদা। ৪৬ মিনিটের এই ভৌতিক থ্রিলারটি একটি আত্মার পুনর্জন্মের উপর ফোকাস করে তৈরি হয়েছে। যে এই নশ্বর মহাবিশ্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটি নশ্বর দেহের সাথে সংযোগ করার চেষ্টা করে। অনির্বাণ বোস,তার স্ত্রী অনুরাধা বোস, ছেলে অনুরূপ বোস এবং কন্যা শ্রেয়া বোসকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। ছবির তিনটি চরিত্র একটি প্ল্যানচেট এর ব্যবস্থা করে। তারপর কি হল জানতে হলে ছবি মুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

মার্চ ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মহারাষ্ট্রে পুরস্কৃত হল বাংলার স্বল্প দৈর্ঘের ছবি 'স্বপ্ন'

১২০০ টির ও বেশী স্বল্প দৈর্ঘের ছবি নিয়ে আয়োজিত রিল ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল (Reel International Film Festival) প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হল বাংলার স্বল্প দৈর্ঘের ছবি স্বপ্ন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সূর্যদীপ। এই রিল ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয় মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে। ছবির পরিচালক জনতার কথাকে জানান, প্রতিযোগিতাটা খুব কঠিন ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষার মোট ১২০০ এর বেশি স্বল্প দৈর্ঘ্য ছবি এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করেছিল। ভারত সহ ইংল্যান্ড, জার্মান, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আরও অন্যান্য দেশের বিখ্যাত পরিচালকদের ছবির পাশাপাশি আমার পরিচালিত বাংলা ছবি স্বপ্ন স্পেশল জুড়ি পুরস্কার (Special Jury Award) পাওয়ায় আমি ভীষণ খুশি। ছবি সম্বন্ধে জানাতে গিয়ে তিনি জানান, বর্তমান বিশ্বের বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের প্রধান সমস্যা শিশুশ্রমিক, তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বক্তব্য নিয়েই আমাদের এই গল্প।স্বপ্ন শর্টফিল্ম সম্মন্ধে বলতে গিয়ে ফিল্মের পরিচালক সূর্যদীপ জনতার কথাকে বলেন, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাবো গল্পের লেখক বিশ্বজিৎ চৌধুরী কে, এবং সেই সঙ্গে স্বপ্ন শর্ট ফিল্মের সকল কলা কুশলীদের। বিশ্বজিৎ বাবুর গল্পটা আমাকে ভীষণ ভাবে নাড়া দেয়, ভালো গল্প হলে পরিচালনার দায়িত্ব টাও অনেকটা বেড়ে যায়, তাই আমি আমার যোগ্যতা অনুযায়ী চেষ্টা করেছি একটা ভালো ছবি দর্শকদের উপহার দেওয়ার জন্য। বর্তমানে বাংলা ছবির দর্শক সংখ্যা হাতে গুনে বলে দেওয়া যায়, আর শর্টফিল্ম শুনলে তো সেটা হাসির খোরাক হয়ে যায় অনেকের কাছে, তাই মানুষ যাতে আরো বেশি করে বাংলা ছবি দেখে, বাংলা ছবি দেখার আগ্রহ দেখায় তার দায়িত্ব যেমন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্ট বর্তমান পরিচালকদের, তেমনই আমাদের মতো নবাগত শর্টফিল্ম পরিচালকদের ও সেই দায়িত্বটা সমান ভাবে নিতে হবে, তবেই দর্শক বন্ধুরা বেশি করে বাংলা ছবি দেখার আগ্রহ দেখাবেন।স্বপ্ন তে অভিনয় করছেন একাধিক নতুন মুখ, যাদের মধ্যে অনেকেই ক্যামেরার সামনেও প্রথম বার। এই ছবির প্রধান দুই চরিত্র, দুই শিশু শিল্পী শান্তনু চক্রবর্তী ও বর্ষা পাল, যাদের অভিনয় ইতিমধ্যে বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছে, শুধু তাই নয়, পেয়েছে তিন তিনটি ফেস্টিভ্যাল থেকে শ্রেষ্ট শিশু শিল্পীর পুরস্কার। সূর্যদীপ আরও জানান, আমি ষ্টার কাস্ট এ বিশ্বাসী নই । সুপ্ত প্রতিভা গুলো বের করে আনতে সর্বদা চেষ্টা করি। কাজ টা যথেষ্ট কঠিন হলেও আমি ভরসা রাখি নতুনদের উপর। ছোট এবং নবাগত শিল্পীদের দের নিয়ে কাজ একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ, আমি সেটা সর্বদা নিতে প্রস্তুত। আমি মনে করি নতুন শিল্পী উঠে না আসলে প্রথম যে সমস্যাটা হবে সেটা হল, দর্শক দের মধ্যে একই মুখ দেখতে দেখতে একঘেয়েমি ক্লান্তি এসে যাবে, আর যেটা হবে সেটা হল, জেনেরেশন গ্যাপ বা সাপ্লাই চেন বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, কোনো পরিচালকের ক্ষমতা থাকে না কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রী কে ষ্টার বানানোর। তাদের চেষ্টা আর প্রতিভাই তাদের সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয়। পরিচালকের কাজ তাদেরকে চরিত্রগুলো তে কি কি বৈশিষ্ট আছে, তা সন্মন্ধে একটা পরিষ্কার ধারণা দেওয়া আর টেকনিকালি সঠিক কিছু পদ্ধতি ও কৌশল তাদেরকে শিখিয়ে দেওয়া মাত্র।এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে বেশ কিছু থিয়েটার কর্মীদের, যার মধ্যে অনুপম মুখার্জি ও পুষ্পিতা বক্সী অন্যতম। সূর্যদীপ নিজেও একজন নাট্য জগতের মানুষ তাই নাটকের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে হয়ত তিনি পছন্দ কড়েছেণ। এই প্রসঙ্গে তিনি জনতার কথাকে বলেন, নাটকের ছেলে মেয়েদের নিয়ে কাজ করলে কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় কারণ পরিচালক ঠিক কি চাইছে তারা খুব সহজেই বুঝে যায়।স্বপ্ন শর্টফিল্মে চিত্রগ্রহনের দায়িত্বে ছিলেন সৌনক দাস ও সৌরভ সাহা। নতুন অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে সুবীর মুখার্জী, লক্ষী হালদার, সুমন অধিকারী, পিন্টু ঘোষাল, অর্ণব সেন গুপ্ত ও বান্টি হালদারকে অভিনয় করতে দেখা গেছে এই ছবিতে। এখনো পর্যন্ত স্বপ্ন শর্টফিল্মটি পনেরো টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে সর্বমোট নয়টা ফেস্টিভ্যাল থেকে পুরস্কৃত হয়েছে।।

মার্চ ১৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মুক্তি পেল মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম 'মন রে ফিরে আয়'

২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির কাছে বিশেষ দিন। আবেগের দিন। এই দিনটা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আর এই বিশেষ দিনে মুক্তি পেয়েছে মণিদীপ সাহার মিউজিক্যাল শর্টফিল্ম মন রে ফিরে আয়। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবতনু ও ঐশ্বর্য সেন। প্রযোজনা করেছেন সৌমেন চ্যাটার্জি। ইতিমধ্যে ২৩ হাজারের কাছাকাছি দর্শক এই মিউজিক্যাল শর্টফিল্ম দেখেছেন। অনেকেই এরকম সুন্দর একটা প্রোজেক্টের প্রশংসা করেছেন। এই প্রোজেক্টে কাজ করার অনুভূতি বেশ ভালো সকলেরই। অভিনেতা দেবতনু তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন কিছু করতে চেয়েছি। অডিয়েন্সের এত ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগছে। সবাই পাশে থাকলে বার বার নতুন কিছু করার সাহস পাবো। বিশ্বের দরবারে বাংলার কন্টেন্ট কে নিয়ে যাওয়া আমার স্বপ্ন। হয়তো পারবো সেটা। পুরো টিম কে অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ভালোবাসার দিনে নতুন কাজ

শ্রী দেলারট নিবেদিত সৌমেন চট্টোপাধ্যায় এর উদ্যোগে ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে সৌম্য চক্রবর্তীর শর্ট ফিল্ম পেন্ডুলাম এর ট্রেলার লঞ্চ হয়ে গেল। অভিনয় করেছেন সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। জীবনটা আসলে পেন্ডুলাম এর মতো অনিশ্চিত। আজ যেখানে আছে, কাল সেখানে নাও থাকতে পারে। সেই অনিশ্চয়তার গল্প বলবে পেন্ডুলাম।এছাড়া দেখানো হল মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম আবদার। পরিচালনায় রয়েছেন অরুদীপ্ত দাশগুপ্ত। অভিনয় করেছেন ঋতব্রত মুখার্জি ও নবাগতা দেবাঙ্গী। মিউজিক করেছেন শুভ।মণিদীপ এর পরিচালনায় মন রে ফিরে আয় মিউজিক ভিডিওটি প্রদর্শিত হল। অভিনয় করেছেন দেবতনু ও ঐশ্বর্য সেন। প্রদর্শিত হল সুদীপ মৃধার মিউজিক ভিডিওর টুকরো অংশ। শঙ্খ চক্রবর্তী পরিচালিত শর্ট ফিল্ম রে অফ হোপ জীবনের সেই আশার আলো যে আলো আমাদের বাঁচিয়ে রাখে সেই আশার কথা বলবে। রাজ দাস অভিনীত ফেসিং দ্য ফেস বিখ্যাত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকে উৎসর্গিত। রাজ দাস নিজেও ট্রান্সজেন্ডার। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জীবন ও যাপনের কথাই বলবে ফেসিং দ্য ফেস।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ধনিয়াখালী শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মঞ্চে সন্মাননা পেলেন পরিচালক রাজকুমার দাস

হুগলীর ধনিয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুদিনের শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। রাজু মালিক ফিল্ম প্রোডাকশনের উদ্যোগে উক্ত ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত করা হয়। প্রায় ত্রিশজন পরিচালকের ছবি উক্ত উৎসবে মনোনীত হয়ে প্রদর্শিত হয়। উক্ত উৎসবে পরিচালক রাজকুমার দাস পরিচালিত ও অভিনীত দা ব্লাইন্ড ভীষন-সেফ লাইফ সেভ ড্রাইভ এর উপর ভিত্তি করে সমাজ সচেতনতা মূলক ছবিটি দেখানো হয়।দর্শকদের কাছে সমাদৃত হয়। এদিনের মঞ্চে পরিচালক রাজকুমার দাসের হাতে সন্মাননা স্মারক ও মানপত্র তুলে তাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক পঙ্কজ সেন, চিত্রগ্রাহক-অরিন্দম ভট্টাচার্য, পরিচালক অজন্তা দেব বর্মণ, বাদল সরকার,অরূপ মুখার্জী,ধনঞ্জয় মন্ডল প্রমুখ।পরিচালক রাজকুমার দাস বলেন যেকোন সন্মান পাওয়া মানে আরও মানুষের জন্য ভালো ভালো ছবি করে যাওয়ার ইচ্ছা শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়,তাই মানুষের ভালোবাসা পেয়ে ভালো লাগছে। ইতিমধ্যেই রাজকুমার পরিচালিত নীল বিষ,অন্তরালে,চোরাবালি, বলিদান,বীর তিতুমীর, পল্লী কবি কুমুদ রঞ্জন ,জার্নি অব লাইফ, মিশন টলিউড, প্রমুখ ফিল্ম শর্ট ফিল্ম ও তথ্যচিত্র বানিয়ে দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন। আগামীতে কাজ করছেন আরও বেশকিছু নতুন ছবি। ধনিয়াখালী ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে র উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক অসীমা পাত্র। আয়োজনে ছিল চিত্রপরিচালক রাজু মালিক। উৎসবটি দ্বিতীয় বছরে পড়লো। আগামী দিনে এই উৎসব সুচারু ভাবে এগিয়ে চলুক। শুভেচ্ছা রইলো।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

‘চার এক্কে প্যাঁচ'-র জন্য জোড়া পুরস্কার পেলেন পরিচালক অরূপ সেনগুপ্ত

চালচ্চিত্র রোলিং অ্যাওয়ার্ড-এ জোড়া পুরস্কার পেল পরিচালক অরূপ সেনগুপ্তের ছবি চার এক্কে প্যাঁচ। গত ২ বছরের বন্দি দশা কাটিয়ে সাধারণ মানুষকে সিনেমা আবার হলমুখী করাচ্ছে। পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবির পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামিল হয়েছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিও। আর এই প্রতিযোগিতায় বেস্ট কমেডি ফিল্ম এবং বেস্ট এন্থুসিয়াস্টিক ফিল্মমেকার পুরস্কার জিতল অরূপ সেনগুপ্তের স্বল্প দৈঘ্যের ছবি চার এক্কে প্যাঁচ।এই ছবির পুরো শুটিং এক দিনের শেষ করেছেন পরিচালক ও তার টিম। শুটিং হয়েছে বারুইপুর স্কুল ও যাদবপুরে। এখন বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালের জন্য পাঠানো হয়েছে ছবিটা। সেইসব ফেস্টিভ্যাল থেকে ভালো কিছু ফিডব্যাক পাবেন আশাবাদী অরূপ সেনগুপ্ত।পরিচালক জনতার কথা-কে জানিয়েছেন, আমার ছবিটা ১৭ মিনিট এর। একটি কমেডি শর্টফিল্ম। এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেছেন অসীম রায়চৌধুরী, দেবমাল্য গুপ্ত, ঈশিকা রায়, রাজ্জাক হোসেন, প্রিয়াঙ্কা সরকার। ছবির গল্প লিখেছেন বোধিসত্ব মজুমদার। চিত্রগ্রাহক রতন মন্ডল। সংগীত পরিচালকের দায়িত্ব সামলেছেন অরিন। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন নিখিল আগরওয়াল। এরকম একটা অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় পরিচালক হিসাবে ভালো কাজ করার উৎসাহটা আরও বেড়ে গেল।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাংবাদিক থেকে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির পুরস্কার বিজেতা পরিচালক মুখোমুখি জনতার কথার

সৌম্যদীপ ঘোষ চৌধুরী, বহুল প্রচারিত সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিনোদন বিভাগে সাংবাদিকতা করতে করতে সিনেমা বানানোর প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। সেই ভালোবাসার টানেই সাংবাদিকতা ছেড়ে ২০১৭ থেকে এখনও অবধি ছবি নির্মাণেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। সম্প্রতি গোল্ডেন মিরর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির পুরস্কার জিতে নিল তাঁর এলএসসি। এলএসসি দিয়ে শুরু করে, সাংবাদিক থেকে চিত্র পরিচালক হয়ে ওঠার জার্নি ফোন-ইন্টারভিউতে জনতার কথা-র সায়ন্তন সেনের সঙ্গে শেয়ার করলেন সৌম্যদীপ।জনতার কথাঃ আপনার ছবি গোল্ডেন মিরর ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির পুরস্কার জিতে নিল। যেখানে গৌতম ঘোষের মত একজন ফিল্মমেকার উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতিটা কেমন ছিল?সৌম্যদীপঃ যে কোনও ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার পাওয়া ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ভালোই লাগে। পুরস্কারের থেকে বড় জিনিস হল ছোট ছবি দেখা এবং দেখানোর পরিসরটা তো খুব একটা বেশি নেই। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে সেটা খুবই কম। এই ছোট-বড় যে কোনও ফেস্টিভ্যালে এই ছোট ছবি দেখা এবং দেখানোর যে পদ্ধতি থাকে সেটা সবসময়ই খুব ভালো লাগে। গৌতম ঘোষের মতো একজন সিনিয়র পরিচালক যখন এরকম একটা ফেস্টিভ্যালে থাকেন এবং বসে ছবি দেখেন সেটা একটা আলাদা অনুভূতির জায়গা। এঁরা ছোট ছবিকে ছোট পর্যায়ে রাখেন না। এঁদের প্রেসেন্সেটা পরিসরটাকে অনেকটা বড় করে তোলে।পুরস্কার বিতরনজনতার কথাঃ এলএসসি নিয়ে যদি সংক্ষেপে কিছু বলেন...সৌম্যদীপঃ এটার ফুল ফর্ম লাইক, শেয়ার, কমেন্ট (Like, Share, Comment)। সেটাকেই শর্ট করে এলএসসি করা হয়েছে। ইট সাউন্ডস লাইক এলএসডি। এলএসডি যেমন একটা ড্রাগ হয় তেমনই লাইক, শেয়ার, কমেন্টটাও এই জেনারেশনের কিছু মানুষের কাছে খানিকটা ড্রাগের মতোই পৌঁছাচ্ছে। সেটার কি কি খারাপ দিক আছে এবং সেটা কতটা খারাপ হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার সেই জার্নিটা নিয়েই পুরো কাহিনীটা তৈরি করা। আগে কুকুরকে আমরা চেন দিয়ে বেঁধে রাখতাম। এখন ফোনের চার্জারের তারটা আমাদের সুইচবোর্ডের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এই ছবির গোটা কনসেপ্টটাই এটা নিয়ে।জনতার কথাঃ ছোট ছবি মানেই ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম। আপনারটাও নিশ্চয় সেটাই...সৌম্যদীপঃ ছোট ছবি মানেই বেশিরভাগ ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি, কিন্তু এটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি না। এলএসসির প্রযোজক সোমনাথ দে। উনি আপাদমস্তক একজন কর্পোরেট মানুষ, দীর্ঘদিন ভারতের বাইরে কাটিয়ে দেশে ফিরে দেশের মানুষের জন্য কিছু করার উদ্যোগে নিচ্ছিলেন, আই অ্যাম ফরচুনেট যে, ওনার সঙ্গে সেই মুহূর্তে আমার দেখা হয়। এটা তারও প্রথম প্রযোজনা। আর এটা পুরোটাই বানানো হয়েছে হিন্দিতে। বাংলা শর্ট ফিল্ম করলে দর্শক তো পাওয়া যায় না, বিক্রি করারও জায়গা পাওয়া যায় না। কিন্তু হিন্দিতে শর্ট ফিল্ম করাতে কেনার পরিসরটা অনেকটা বড় এবং ডিস্ট্রিবিউশনটাও ভালো হয়। আমি লাকি যে সোমনাথ দে এই ছবি প্রযোজনা করতে রাজি রয়েছেন এবং তাঁর কাছে মনে হয়েছে এটা সমাজের জন্য খুব দরকারি একটা ছবি। প্রযোজক খুব সাপোর্ট করেছেন।জনতার কথাঃ এই ছোট ছবিটা কতক্ষণের এবং কে কে অভিনয় করেছেন?সৌম্যদীপঃ এটা ১৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের। মূল চরিত্রে প্রশান্ত সূত্রধর। এছাড়া রয়েছেন স্বস্তি দাস, মৌমিতা বি বোস।পরিচালক ও প্রযোজক সোমনাথ দেজনতার কথাঃ বাংলাতে বিগত দু-তিন বছরে অনেক শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হচ্ছে। এই শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উপযোগিতা কতটা রয়েছে বা স্বচ্ছতা কতটা আছে?সৌম্যদীপঃ বাংলায় অনেক শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হচ্ছে। তার একটা ভালো দিকও আছে। আবার একটা খারাপ দিকও আছে। ভালো দিক হল প্রচুর কন্টেন্ট তৈরি হবে। আবার প্রচুর আবোল-তাবোল কন্টেন্টও তৈরি হবে। গুণগত মানটাও কমে যায়। লকডাউনে আমি এরকম অনেক ছবি দেখেছি যারা কেউ প্রপার ফিল্মমেকার না। ফলে কোয়ালিটি ফল করছে। আর স্বচ্ছতার কথা বললে আমি খুব সহজভাবে বলি সব ফেস্টিভ্যালের খুব স্বচ্ছতা থাকে না। অস্বচ্ছতা বেশিরভাগ ফেস্টিভ্যালেরই আছে, তবে সব ফেস্টিভ্যালেরই যে আছে এমনটাও বলতে পারছি না। শর্টকাট ওয়েতে একটা অ্যাওয়ার্ড হয়তো পাওয়া যেতে পারে কিন্তু তাতে ভালো ছবি হয় না। কোনও ছবি বানানোর পর আমি যদি অ্যাওয়ার্ডের জন্য কাউকে রিকোয়েস্ট করি তার মানে সেই ছবির গুণগত মান ভালো হয়নি বলেই কিন্তু আমি রিকোয়েস্ট করছি। সেরকম একটা ছবি ফেস্টিভ্যালে পাঠানো ঠিক না। তাহলে শিল্পের গুণগত মান পড়বে বলেই আমার ধারনা। অ্যাওয়ার্ড পাওয়াটাই যদি মূল উদ্দেশ্য হয় সেটা খুব একটা ভালো ব্যাপার নয়।জনতার কথাঃ আপনার আপকামিং আর কি কি ছবি আসছে?সৌম্যদীপঃ আমার একটা ফিট অ্যান্ড ফো ছবি হল। যেখানে ক্যাকটাসের সিধু দা এবং সায়নী দত্ত অভিনয় করেছেন। এটা ৩০ মিনিটের একটা শর্ট এবং এটাই আমার শেষ শর্ট ফিল্ম। আমি এখন ফিচার ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজের দিকে মন দিয়েছি।জনতার কথাঃ পেজ থ্রি জার্নালিস্ট থেকে পরিচালনায় আসায় কোনও সুবিধা কি পেয়েছেন?সৌম্যদীপঃ সুবিধা তো পেয়েছি। কন্ট্যাক্ট তৈরি হয়েছে। নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে আমি নাওয়াজ বলে ডাকতে পারি। ওর সঙ্গে একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে। আদিল হুসেন, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব তৈরিই হত না আমি টাইমস-এ চাকরিটা না করলে। সাংবাদিক থেকে ফিল্ম ডিরেক্টর হওয়ায় সাংবাদিক পরিমণ্ডলে থাকা আমার সাংবাদিক বন্ধুরা আমাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।গৌতম ঘোষ ও পরিচালক সৌম্যদীপজনতার কথাঃ শেষ প্রশ্ন, আগামি দিনে কি সাংবাদিকতায় ফেরার ইচ্ছে রয়েছে আপনার?সৌম্যদীপঃ না সেরকম ইচ্ছে নেই। পরিচালনা করছি, বই লিখছি এটাই ঠিক আছে। বইমেলায় আমার নতুন বইও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

'পরজীবী'-র জন্য সেরা অভিনেত্রী রূপ দে

পরিচালক রজত সাহার ও তাঁর পরজীবী টিমের জন্য খুশির খবর। তাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি পরজীবী ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল কাল্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিল। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি অভিনেত্রী রূপ দে। রজতের পোস্ট শেয়ার করে রূপ লেখেন,পুরো টিমকে শুভেচ্ছা। পরিচালক রজত দে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, আমার ছবি পরজীবী ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল কাল্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিল। টিমকে অনেক শুভেচ্ছা।উল্লেখ্য পরজীবী তে রূপ দে ছাড়াও অভিনয় করেছেন পৃথ্বীরাজ চৌধুরী, ফিরোজ শাহ এবং অনিমেষ চক্রবর্তী। অভিনেয়ের পাশাপাশি ক্যামেরার দায়িত্ব ও সামলেছেন অনিমেষ। অন্যদিকে পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবির সম্পাদনার কাজটাও সামলেছেন রজত দে।

জানুয়ারি ১৪, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Palok : প্রদর্শিত হল ছোট ছবি 'পালক'

নারীর ক্ষমতায়ন বা Women Empowerment হল বর্তমানে বহুল চর্চিত একটি বিষয়। আজকের নারী শুধুমাত্র স্বামী, সংসার, সন্তান এতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এই সমস্ত কিছু সামলে নিজের কেরিয়ার এবং স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলতে বদ্ধপরিকর। এই বার্তা নিয়ে প্রর্দশিত হল স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি পালক।এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পারমিতা ব্যানার্জী। যার নিজের জীবনটাই এই বিষয়ে একটা জলন্ত উদাহরণ। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা পারমিতার স্বপ্ন নিজেকে একজন সফল পারফর্মিং আর্টিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এবং নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সে এগিয়ে চলেছে। মডেলিং ক্যরিয়ারে রাম্প ওয়াক, ফোটোশুট, ব্রান্ডশুট, এর পাশাপাশি একজন জাজ হিসেবেও কাজ করেছে সংগে আরও বেশ কিছু আগামী প্রজেক্ট। এবং তার জীবনের গল্পকেই একটি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে পালক-এ।পারমিতা জানালেন এই প্রজেক্টে কাজ করার সুন্দর অভিজ্ঞতার কথা। পালক পরিচালনা এবং তার চিত্রনাট্য করেছেন আকাশ বণিক। এছাড়াও সিনেমাটোগ্রাফি এবং সম্পাদনায় আছেন সত্যজিৎ সি্ংহ নেগি, সংগে সৌনক। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করেছেন পীযূষ যা এককথায় দূর্দান্ত। এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য শুভময় ঘোষের বাঁশি। পালক দেখা যাচ্ছে ক্যালকলিং টিভির ইউটিউব চ্যানেলে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Musical short film : মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্মে নকশাল পিরিওডের প্রেম

যুগ যুগ ধরে প্রেমের পবিত্রতা এক হলেও সমাজের প্রতিবন্ধকতা তার পরিণতির দিক ভিন্ন ভিন্ন হয়। বিচারের চশমা পরে তর্ক চলতে পারে, কিন্তু দুটো পবিত্র আত্মা পবিত্রই থাকে। বেশিরভাগ বিখ্যাত প্রেমের পরিণতি এই চশমা বলে বিয়োগান্তক, কিন্তু দুটো আত্মাকে কোন শক্তি কি আলাদা করতে পেরেছে? এইরকম একটা চোখে জল ঝড়ানো গত সত্তর দশকে (১৯৭০-৮০) এই বাংলার সমাজ জীবনে তোলপাড় কেটেছিল অসংখ্য টাটকা তাজা প্রাণের। বুক ভরা সমাজের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে ঝাপিয়ে পরা যুব সমাজ নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছিল গঙ্গার বুকে। নিকশ কালো অন্ধকারে ওদের বুকের রক্তে গঙ্গার জল লাল হলেও কতজন তার খবর রেখেছে। এইরকম একটুকরো অল্প সময়ের জন্য হলেও অনন্ত সেই ভালোবাসার এই গল্প হলেও সত্যি ঘটনা। এই নিয়েই পরিচালক অরিন্দম গোস্বামীর মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম হামারে দরমিয়া। এখানে অভিনয় করছেন শুভ্রজ্যোতি রায়, শীপ্রা শীল ও কণাদ বণিক।এই মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম নিয়ে পরিচালক জনতার কথা কে জানালেন, এটা আমার দ্বিতীয় মিউজিক্যাল শর্ট ফিল্ম হামারে দরমিয়া। ১৯৭১ সালের নকশালিস্ট পিরিওডের ওপর বেস করা। এটা একটা আনটোল্ড লাভ স্টোরি। বিষয়টা হচ্ছে আজকালকার দিনের প্রেম আর তখনকার দিনের প্রেমের মধ্যে আকাশ আর পাতাল তফাত আছে। তখনকার দিনের প্রেমের মেন ফোকাস থাকতো আইডোলজির ওপর। প্রচণ্ড শিক্ষিত সমাজ ছিল। এই বিষয়ের ওপর বেস করেই হামারে দরমিয়া। কবে শুটিং শুরু এবং কোথায় কোথায় শুটিং হবে উত্তরে জানালেন,শুটিং টা পুরো নর্থ কলকাতা জুড়ে হবে। তার মধ্যে রয়েছে বাগবাজার, উল্টোডাঙ্গার কিছু জায়গা।অভিনেতা কণাদ বণিক তার চরিত্র প্রসঙ্গে জানালেন,আমি নকশাল লিডারের চরিত্রে অভিনয় করছি। আমি হচ্ছি লিডার। আমার সংগঠন আছে। সেখানে বিভিন্ন লোক আছে যারা আমার অর্ডারে কাজ করে। ১৯৭১ এর এই আনটোল্ড লাভ স্টোরি হামারা দরমিয়া আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। অভিনেতা শুভ্রজ্যোতি রায় তার চরিত্র প্রসঙ্গে জানালেন,আমি ফ্রিডমের যে রাইটস তার জন্য লড়াই করছি। খুবই নতুন। আপনাদের ভালো লাগবে। এই গানটার সঙ্গে আপনারা অনেক কিছু রিলেট করতে পারবেন। অভিনেত্রী শিপ্রা শীল তার চরিত্র প্রসঙ্গে জানালেন,আমাকে ১৯৭১ সালের একটা স্বদেশী ক্যারেক্টারে লিড করছি। আপনারা ভিডিওটা দেখুন। আপনাদের ভালো লাগবে।

অক্টোবর ২৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Durga Puja : দুর্গাপুজোতে পরিচালক সৌভিক দে'র দুটো ভিন্নধারার প্রোজেক্ট

পুজোর মিউজিক ভিডিও জানি দেখা হবে ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি কোড 706 এর সাংবাদিক সম্মেলন হয়ে গেল। দুটোই পরিচালনা করেছেন সৌভিক দে। জানি দেখা হবেতে অভিনয় করেছেন সৌভিক ব্যানার্জি ও মৌটুসী সর্দার। কোড 706 এ অভিনয়ে দেখা যাবে চাঁদনী সাহা ও অনিন্দ্য ব্যানার্জিকে।জানি দেখা হবে নিয়ে মৌটুসী জানালেন,পুজোর প্রেমের স্বাদ এই মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে। পুজোর সময় কলকাতা যে আলাদা রূপ ধারণ করে, কলকাতার যে আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে সেটা ডিরেক্টর তুলে ধরেছে। আমি আর সৌভিক দা মিলে এটাকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।কোড 706 এ রয়েছেন চাঁদনী সাহা। দর্শকরা অনেক বাংলা ধারাবাহিকে চাঁদনী কে দেখেছেন। কোড 706 নিয়ে তিনি জানালেন,অনিন্দ্য দার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মনেই হয়নি যে একটা কাজ করছি। প্রচণ্ড মজার একটা মানুষ। কিছু কিছু সিনে তো মনিটারও দেখতে হয়নি আমাকে। এরকম অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা বড় প্রাপ্তি। আমি আমার দিক থেকে ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।পরিচালক সৌভিক দে জানালেন,সবাই লকডাউনে ছিল। লকডাউনের পর সবাই একটু আনন্দ চায়। সেরকমই কিছু ভাবনা নিয়ে আমি দুটো কাজ করেছি। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।জানি দেখা হবে গতকাল মুক্তি পেয়েছে তাইচি প্রোডাকশনের ইউটিউব চ্যানেলে। কোড 706 মুক্তি পাবে পুজোতে। কিন্তু মুক্তির দিন এখনও ঠিক হয়নি।

অক্টোবর ০৮, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Pritha : অনিন্দ্য ব্যানার্জির শর্ট ফিল্মে বিশেষ‌ চরিত্রে পৃথা

অভিনেতা ও পরিচালক অনিন্দ্য পুলক ব্যনার্জি তাঁর নতুন শর্ট ফিল্ম কোভেট লেটারের শুটিং শেষ করলেন। এই শর্ট ফিল্মটি প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছেন পম্পা ব্যানার্জি ও চন্দ্রজিৎ চ্যাটার্জি। মিউজিক করেছেন চিরন্তন ব্যানার্জি। ক্যামেরার দায়িত্ব সামলেছেন রাজা ব্যানার্জি। এই সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পৃথা সেনগুপ্ত কে।আরও পড়ুনঃ কত বেতন পান অনুষ্কার দেহরক্ষী?অনিন্দ্য দার পরিচালনায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত পৃথা। আজ কোভেট লেটারের ডাবিং শেষ হল। ডাবিং এর পর উপটেমো স্টুডিও থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেন কলাকুশলীরা। ফেসবুকে পৃথা লেখেন, উপটেমো স্টুডিওতে কোভেট লেটারের দারুণ একটা ডাবিং সেশন হল। পম্পা ব্যানার্জি লেখেন,দ্বিতীয় দিনের ডাবিং। কাজটা মজার যখন তোমার টিমটা দুর্দান্ত হবে তখনই।

জুলাই ২৩, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

মদিনায় আগুনে পুড়ল ৪২ উমরাহ যাত্রীর দেহ! অধিকাংশই ভারতীয়—বাসে বেঁচে ফিরলেন মাত্র ১ জন

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেল কমপক্ষে ৪২টি প্রাণ। উমরাহ হজে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কার পথে যাচ্ছিল বাসটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত প্রায় একটা বেজে তিরিশ মিনিট নাগাদ মুফরিহাট এলাকায় একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। প্রচণ্ড ধাক্কার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় পুরো গাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়, আর তাতেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর।সৌদি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর কেউ বেরোনোর সুযোগই পাননি। বাসটিতে ১১ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু ছিলএমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কারও পরিচয় নির্ণয় করতেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন তদন্তকারীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজনমহম্মদ আব্দুল শোয়েবযিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দ্রুত মৃতদেহগুলো ভারত ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দিল্লি ও জেদ্দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বরও।তেলঙ্গনা সরকারের হেল্পলাইন নম্বর: +91 7997959754, +91 9912919545জেদ্দা কনস্যুলেটের নম্বর: 8002440003সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেহ শনাক্তিকরণ। দেহগুলি এতটাই অগ্নিদগ্ধ যে DNA পরীক্ষার মতো জটিল প্রক্রিয়া ছাড়া পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব। ফলে দেহ দেশে ফেরানোও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বেড়েছে, কারণ পরিবারগুলির একমাত্র দাবিযেন দ্রুত প্রিয়জনদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

কোথায় সেই শীত? ডিসেম্বরেও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বাংলায়

রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে মিলছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ঠান্ডা এখনও অধরাই। ভোরের দিকে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামছে। সকালের হিমেল হাওয়া আর সন্ধ্যার শিরশিরে ঠান্ডায় মানুষ গরম জামা গায়ে দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু দিনের মাঝামাঝি রোদের তেজ এখনও বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যার ফলে চেনা ডিসেম্বরের সেই কনকনে ঠান্ডা এখনও ফিরছে না বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা নামবে না। বরং সংক্রান্তি পেরোলেই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা এখন শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এই অবস্থানের কারণেই বাংলার উপর দিয়ে বইতে থাকা উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ বাতাস।বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গকোথাও বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। তবে ভোরবেলা কুয়াশায় ঢেকে থাকবে আকাশ। দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গেও রাতের দিকে শীত একধাক্কায় কমে যাবে। ফলে শীতের হিমেল স্পর্শ আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।এরই মধ্যে আরেকটি নতুন সিস্টেম তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। মধ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতি শীতকে আরও কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে পারে।সব মিলিয়ে, শীতের অপেক্ষায় থাকা বাঙালিরা হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকেই পেতে পারেন সেই পরিচিত ঠান্ডার ছোঁয়া। আপাতত আবহাওয়া বলছেশীত আসবে, তবে একটু দেরিতে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ফাঁসি! মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী শেখ হাসিনা—বাংলাদেশে নজিরবিহীন রায়

বাংলাদেশের রাজনীতি যেন মুহূর্তে ঝড়ের চোখে ঢুকে গেল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ঘোষণা করল সেই রায়, যার জন্য দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিলমানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদালত তিনটি ধারায় তাঁকে দোষী ঘোষণা করে সরাসরি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সঙ্গে একই অপরাধে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী প্রমাণিত হয়েছেন গণহত্যার মামলায়।রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালত চত্বরের বাইরে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে। তারপরই শুরু হয় দেশজোড়া তাণ্ডব। ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন লাগানোসব মিলিয়ে যেন বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। আদালতে ৪৫৩ পাতার রায় পড়তে সময় লাগলেও, রায়ের অভিঘাত সরাসরি গিয়ে লাগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।আদালত জানায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় একাধিক গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বহু সাক্ষ্য-প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ, গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, এটি ইতিহাসে নথিবদ্ধ হওয়ার মতো অপরাধ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আদালতের মন্তব্যতিনজনের সমন্বিত ভূমিকার কারণেই এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো দেশের নাগরিকদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।রায়ের পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনা ও র্যাব নামানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায় ঘিরে প্রচুর বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আওয়ামী লিগ সমর্থকেরা রায়কে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে দাবি করেছেন, অন্যদিকে সরকার সমর্থকেরা বলছেনএটা ইতিহাসের বিচার।বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে ঝড় চেপে বসেছে, তার রেশ এখন শুধুই রাস্তায় নয়সরাসরি দেশের ভবিষ্যতের ওপরও পড়ে যাচ্ছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেন কীভাবে? এসএসসি-র ব্যাখ্যায় বাড়ল রহস্য

একাদশদ্বাদশের এসএসসি ফলপ্রকাশ হতেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা হল নীতীশরঞ্জন বর্মন। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে দাগী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে স্পষ্টভাবে ছিল নীতীশরঞ্জনের নাম। আর সেই নীতীশই এবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকও পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছেএকজন দাগী প্রার্থী কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন? কীভাবে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম উঠল? বিতর্ক মুহূর্তে চড়ে গিয়েছে মাথা তুলেই।এই অভিযোগ আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়েছে। আদালতে শামিম জানান, নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে ওই প্রার্থী অযোগ্য হয়েও পরীক্ষায় বসেছেন, এমনকি ভেরিফিকেশনের জন্যও ডাক পেয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন নীতীশরঞ্জনের স্ত্রীও, যাঁর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তিনিই প্রথম আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সামনে আনেন। তাঁর দাবি, নীতীশ দাগী হয়েও ভুলভাবে পরীক্ষায় বসেছেন এবং এখন ভেরিফিকেশন রাউন্ডেও জায়গা পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।বিতর্কের ঢেউ যখন তুঙ্গে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশন মুখ খুলল। কমিশনের বক্তব্য, ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের কথা বলেছিল। সেই নির্দেশ মানতেই নাকি কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসএসসি একই সঙ্গে জানিয়েছে, সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে যদি গরমিল ধরা পড়ে, দাগী হয়েও কেউ যদি সতর্কতা সত্ত্বেও তালিকায় ঢুকে পড়েন, তাহলে ভেরিফিকেশনের সময় সেই প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার পূর্ণ অধিকার কমিশনের রয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেএকজনও দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল, তা বয়স বা শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দাগী তালিকার ক্ষেত্রে নয়। ফলে নীতীশরঞ্জন বর্মন কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদালতকক্ষে এই ব্যাখ্যার ওপরেই নজর এখন সবার।রবিবার দিনভর এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র আলোচনার ঢেউ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেনআইনের ফাঁক কি কাজে লাগাল নীতীশ? নাকি নিয়োগ ব্যবস্থার ত্রুটি এতটাই গভীর যে দাগী তালিকা থাকা সত্ত্বেও এমন ভুল সম্ভব? এখন অপেক্ষা আদালতের সিদ্ধান্তের, আর সেই সিদ্ধান্তই ঠিক করবে নীতীশরঞ্জনের মতো বিতর্কিত প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর নিয়ে তোলপাড়! এসএসসি তালিকায় ১৯৯৭ পর জন্মেও ‘এক্সপেরিয়েন্স’?

এসএসসি-র এগারো-বারোর শিক্ষক নিয়োগে ফের নতুন করে বিতর্কে আগুন লেগেছে। উচ্চ কাট-অফের চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নতুনরা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ৬০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ ৬০ পেলেও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, আর সেই তালিকার বড় অংশেই ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা সুবিধা পেয়েছেন অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত দশ নম্বরের জোরে। এই বাড়তি নম্বরেরই বিরোধিতায় এবার পথে নেমে সরব হয়েছেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, এমন বহু প্রার্থীও নাকি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন বলে তালিকায় দেখা যাচ্ছে। বয়সের হিসাবে যা একেবারেই অসম্ভব। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাড়তেই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের বক্তব্য, যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণই প্রার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। আপাতত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে প্রাথমিক তালিকা বানানো হয়েছে। এর পরেই তথ্য যাচাইকরণ চলবে। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবেন। পরে অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হবে।এদিকে অভিযোগ উঠছে কাট-অফ এতই বেশি যে, ভালো নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী তালিকার বাইরে। ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫এই অত্যাধিক কাট-অফের কারণেই নাকি পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যেও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু কমিশনের এই ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি শান্ত তো হয়নি, বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে।করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এ দিন রীতিমতো মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বর প্রক্রিয়াটাই অবিচার। ফুল মার্কস পেয়েও যদি ইন্টারভিউর ডাক না আসে, তাহলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আর এই নিয়েই সরগরম রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

শেখ হাসিনার পরিবারের ইতিহাস এবার মুছে ফেলবে কে? ধানমন্ডি ৩২-এ রহস্যময় তৎপরতা

বাংলাদেশে যেন ইতিহাসের এক ভয়াবহ পুনরাবৃত্তি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলার ৪৫৩ পাতার রায় পড়া চলছে আদালতে, আর ঠিক সেই সময়েই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির সামনে দেখা গেল দুটি পে-লোডার। দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে তোলপাড় বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠলঅন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার কি তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে?পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য আরও উদ্বেগ বাড়ায়। জানা গেছে, ধানমন্ডির বাড়ির যে অংশ এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেই এই পে-লোডার আনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির দিকের পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে যায় তারা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এলাকায় তখন উত্তেজনা টগবগ করছে।এদিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ব্যারিকেড তুলে বিক্ষোভ থামাতে চাইলে ক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। দুটি পক্ষের সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।পটভূমিটা আরও জটিল। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর, এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতের অন্ধকারে পে-লোডার এনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত এই ৩২ নম্বর বাড়ি। পরে তাতে আগুন লাগানো হয়। দেশজুড়ে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। আর এবার আবারও, ঠিক রায়ের দিন, পে-লোডার নিয়ে বাড়ির সামনে হাজির হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকার রাস্তায় ককটেল বোমা ফাটছে, সিলেট-ময়মনসিংহ-কুষ্টিয়া মিলিয়ে সাতটি বাস, ভ্যান, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও আগুন ধরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ রবিবার থেকেই সারাদেশে শাটডাউন ডেকেছে।অবস্থা এতটাই ভয়ংকর যে ৫৫ হাজার পুলিশকে মোতায়েন করতে হয়েছে। সেনা ও বিজিবি নেমেছে রাস্তায়। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছেকোথাও আগুন লাগানো বা ককটেল ছোড়া দেখা গেলে সরাসরি গুলি চালানো হবে।এমতাবস্থায় ধানমন্ডি ৩২-এ পে-লোডারের উপস্থিতি শুধু উত্তেজনা নয়এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকেতও বয়ে আনছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙার চেষ্টা আসলে প্রতীকীদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারটিকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার আরেক প্রচেষ্টা কি? রায় ঘোষণার মাঝেই এমন দৃশ্য পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে টালমাটাল করেছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

‘কাগজ নেই, তাই ফিরছি’—এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে তিনশো বাংলাদেশির ভিড়

ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছে শয়ে-শয়ে মানুষের। কারও হাতে ট্রলি ব্যাগ, কারও মাথায় বোঁচকা, আবার কেউ লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে কাতর চোখে তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্তের দিকে। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্যযত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। কারণ হিসেবে অনেকেই সরাসরি জানাচ্ছেন, এসআইআর-এর ভয়ে আর থাকতে সাহস পাচ্ছেন না ভারতে।বছরের পর বছর কোনও নথিপত্র ছাড়াই রুটি-রুজির খোঁজে ভারতেই বসতি গেড়ে ছিলেন অনেক বাংলাদেশি। কেউ কলকাতার বিরাটিতে, কেউ চিনারপার্কে, কেউ আবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী, দিনমজুর বা ছোটখাটো কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বারোটি রাজ্যজুড়ে এবং পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলায় আচমকাই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কই যেন এখন তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে সীমান্ত অভিমুখে।সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় জমছে শতাধিক বাংলাদেশির। দুপুরে সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যায়। পুরুষ, মহিলা, কোলের শিশুসবাই মিলে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সামনে কাঁটাতারের বেড়া, আর পেছনে অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থায়ী জীবনের স্মৃতি।এরই মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। যাঁরা বৈধ কাগজ দেখাতে পারছেন না, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেই এগোচ্ছেন জওয়ানরা। স্থানীয় মানুষ এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত, অনেকেই বলছেনএ রকম দৃশ্য বহু বছর পর দেখা গেল। যে বাংলাদেশিরা এতদিন গোপনে ভারতেই বসবাস করছিলেন, তাঁরা এবার নিজেরাই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন।সাবিনা পারভিন নামে এক মহিলার কথায় উঠে এসেছে সেই আতঙ্কের ছবিটা। তিনি বললেন, বাংলাদেশেই আমার বাড়ি। কিন্তু বিরাটিতে থাকতাম। কোনও কাগজপত্র নেই। বেআইনিভাবেই ছিলাম। আরও এক ব্যক্তি স্বীকার করলেন, তিনি চিনারপার্কে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বললেন, আধারকার্ড নেই। বাংলায় এসেছিলাম পেটের দায়ে। এখন ভয় লাগছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।সীমান্ত এলাকা জুড়ে এখন এক ধরনের চাপা উত্তেজনা। কেন এত মানুষ হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে ফিরতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা মহলে জোর আলোচনা। স্থানীয়দের চোখের সামনে একটি বড় পরিবর্তনের ছবিযে সীমান্ত দিয়ে একসময় বেআইনিভাবে ঢুকতেন বাংলাদেশিরা, আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। এসআইআর প্রক্রিয়ার আতঙ্কে এবার তাঁরা নিজের দেশেই ফেরার চেষ্টা করছেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

নির্বাচনের আগে নিউটাউনের গাড়ি থেকে মিলল টাকার পাহাড়? জিজ্ঞাসাবাদে মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নির্বাচনের আগে বাংলায় ফের টাকার পাহাড় উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। সোমবার সকালেই নারায়ণপুরের আকাঙ্ক্ষা মোড়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আচমকা তল্লাশি চালায় বেঙ্গল এসটিএফ। আর সেখানেই একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার নগদ। মুহূর্তে এলাকা জুড়ে তৈরি হয় উত্তেজনা। বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটি। আটক করা হয়েছে গাড়ির মালিক-সহ দুই জনকে। তদন্তকারীদের অনুমান, নিউটাউনের দিক থেকেই আনা হচ্ছিল এই টাকা। তবে টাকা কার, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং কেনতা এখনো ধোঁয়াশা।ইতিমধ্যেই বাংলায় জোরকদমে চলছে এসআইআর অভিযান, অন্যদিকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছাব্বিশের ভোট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দলও সদ্য বাংলায় পরিদর্শন সেরে গিয়েছে। এর মধ্যেই গাড়ি ভর্তি এত টাকা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছেএই নগদের নেপথ্যে কি নির্বাচনী কারবার? নাকি সক্রিয় কোনও অন্য অর্থচক্র? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।টাকার উৎস জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আটক দুই ব্যক্তিকে। কোথা থেকে টাকা তোলা হয়েছিল, কার নির্দেশে নেওয়া হচ্ছিল এবং এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা অন্য কোনও চক্র জড়িত কি না, তা জানতেই জোরদার তদন্ত।উল্লেখ্য, মাত্র গত সপ্তাহেই ইডি-র অভিযানে কলকাতার তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল অঙ্কের নগদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। একই দিন বেলেঘাটা-সহ শহরের আরও কয়েকটি জায়গা জুড়ে চলে তল্লাশি। চলতি মাসের শুরুতেও কলকাতার একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানেও হয়েছিল তল্লাশি।তবে আজকের উদ্ধার হওয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির কোনও চক্রের ফল, নাকি সম্পূর্ণ অন্য কারণে নগদ পরিবহণতা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে চাইছে না তদন্তকারী সংস্থা। এসটিএফ সূত্রে খবর, সবদিক খতিয়ে দেখে শিগগিরই সামনে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপাতত আটক দুই ব্যক্তির জেরা চলছে, আর সেই জেরার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal